বহিষ্কৃত নেতারা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।”
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন এবং সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন—মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. আমিনুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন মুন্না ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এই আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আটককৃতরা সমন্বয়ক পরিচয়ে শাম্মী আহমেদের স্বামীর কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। এর আগে তারা একই বাসা থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে গিয়েছিল। শনিবার রাতে তারা স্বর্ণালঙ্কার ও বাকি টাকা আনতে গেলে বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দেয়, এবং পুলিশ তাদের হাতেনাতে আটক করে।