শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

বিএনপির ২০২৪ সালের আয় ১৫.৬৫ কোটি, ব্যয় ৪.৮০ কোটি: নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন জমা

বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) ২০২৪ সালের (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দলটির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা, আর ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা। এর ফলে দলটির ব্যাংকে জমা রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

রোববার (২৭ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসি সচিব আখতার আহমেদের কাছে এই আর্থিক বিবরণী জমা দেন। রিজভী জানান, গত বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দলটির আয় বেড়েছে ১৪ কোটি ৫৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৯১ টাকা। ২০২৩ সালে বিএনপির আয় ছিল ১ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ১৫১ টাকা এবং ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৬৫ লাখ ২৩ হাজার ৯৭০ টাকা। তুলনায়, ২০২২ সালে দলটির আয় ছিল ৫ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ টাকা এবং ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ টাকা।

আয়ের উতস প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ এবং এককালীন অনুদান থেকে এই আয় হয়েছে।” ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, এবং লিফলেট ও পোস্টার ছাপানো।

নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে রিজভী সমালোচনা করে বলেন, “পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হারিয়েছিল এবং নির্বাহী বিভাগের অধীনে ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল। দিনের ভোট রাতে করা হতো, এবং লুটের নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। মেরুদণ্ডহীন ও চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন করা হয়েছিল।” তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান কমিশন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে।

প্রতিনিধি দলের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসিরুদ্দিন আসিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন এবং আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

নির্বাচন কমিশনের রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার (আরপিও) অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে তাদের আগের বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়। টানা তিন বছর রিপোর্ট জমা না দিলে দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.