বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন। আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দুটি মূল বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সরকারের আরো শক্ত অবস্থান গ্রহণ করা উচিত। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত—এই দাবি বিএনপির পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই। প্রত্যেকটি দলই ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের প্রতি তাদের অটুট সমর্থন প্রকাশ করেছে। তবে তারা মাঝে মাঝে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে পারে, তবে এর মানে এই নয় যে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আপনারা যদি একসঙ্গে থাকেন, এটি মানুষের মধ্যে স্বস্তির ভাবনা সৃষ্টি করবে, এবং মানুষ অনেক খুশি হবে আপনাদের ঐক্য দেখে।’ তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য বজায় রেখেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে এবং মাঠে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করতে হবে।
আইন উপদেষ্টা আরো জানান, রাজনৈতিক দলগুলো বলেছেন, তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী একতার ক্ষেত্রে কোনো হতাশা বা টেনশন অনুভব করছেন না। তারা দাবি করেছেন, দেশে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিস্টদের সহযোগীরা মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দেয়, সেক্ষেত্রে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চারটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাতক্ষণিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।