রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

শেরপুরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা ও সমাবেশ: শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শেরপুরে আয়োজিত এক জনসমাবেশে ভারত সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, “পুশইন করতে হলে শেখ হাসিনাকে এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের পুশইন করুন। আমরা বিচারের মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।” তিনি আরও বলেন, “প্রশাসনের মধ্যে যারা এখনো আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে এবং তাদের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদেরও বিচার করতে হবে।”

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকালে শেরপুর শহরের থানা মোড় এলাকায় ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির সমাপ্তিতে এনসিপির আয়োজিত পথসভায় নাহিদ ইসলাম এই মন্তব্য করেন। এর আগে, শহরের শহীদ মাহবুব চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা মোড়ে এসে শেষ হয়।

উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সমাবেশে বলেন, “আগামীর বাংলাদেশের জন্য আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, গত এক বছরে তা পূরণ হয়নি। এজন্য দেশ গড়তে আমাদের জুলাই পদযাত্রা শুরু করতে হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আর বাংলাদেশে কাউকে পির মানব না। কেউ ৯৫টি কাজ ভালো করলে তাকে ভালো বলব, আর পাঁচটি কাজ খারাপ করলে তাকে খারাপ বলব।”

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন সমাবেশে বলেন, “মাইলস্টোনের ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, কোন করপোরেট সংগঠন বা বাহিনী এর সঙ্গে যুক্ত, আমরা তা জানতে চাই।”

সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সারজিস আলম, প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা।
নেতারা সমাবেশে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেন। এনসিপির এই কর্মসূচি ও নেতাদের আগমনকে কেন্দ্র করে জেলা এনসিপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.