পোস্টে বলা হয়, ডা. শফিকুর রহমানের হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফোন করে তাঁর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার সামগ্রিক খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ডা. শফিকুর রহমানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। পোস্টে আরও বলা হয়, “মহান আল্লাহ প্রধান উপদেষ্টাকে উত্তম জাযা দান করুন। আমিন।”
গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতার সময় ডা. শফিকুর রহমান দুইবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মঞ্চে ধসে পড়েন। এরপর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও, ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় তাঁর হৃদপিণ্ডের তিনটি প্রধান রক্তনালিতে উল্লেখযোগ্য ব্লক ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন, যদিও অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মতো বিকল্প চিকিৎসার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী নাজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে “তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল” অবস্থায় রয়েছেন। তবে সার্জারির সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসার প্রস্তাব সত্ত্বেও দেশেই সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বলেন, “আমি এদেশেই জন্মগ্রহণ করেছি, এদেশেই চিকিৎসা নিবো এবং এদেশের মাটি ও মানুষের সাথে আজীবন মিশে থাকতে চাই।”
এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সংগঠনের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।