বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

ছাত্রদলের সাবেক নেতা সৌরভ প্রিয় পাল সাময়িক বহিষ্কার, চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভ প্রিয় পালকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। এছাড়া, তাঁর সঙ্গে সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৌরভ প্রিয় পালের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সংসদ এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের অনুমোদনক্রমে সৌরভ প্রিয় পালকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে তাঁর সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি বাপ্পি দে, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত তালুকদার এবং অপু চৌধুরী আকাশের বিরুদ্ধেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তাঁদেরকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

এই ঘটনা নিয়ে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং সংগঠনের নীতি-আদর্শ বজায় রাখার প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। তবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে সংগঠনের শুদ্ধি অভিযান হিসেবে দেখলেও, অনেকে এই পদক্ষেপের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.