রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫

কুমিল্লায় কৃষক দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালমারী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহ্বায়ক আহমেদ হোসেন তালুকদারকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গোয়ালমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত শনিবার রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় মিজানুর রহমান প্রধানকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

দলীয় সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই রাতে আহমেদ হোসেন তালুকদারের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। তিনি সেদিন গোয়ালমারী থেকে ঢাকার বাসায় ফিরছিলেন। পথে গোয়ালমারী অটোরিকশা স্ট্যান্ডে একদল সন্ত্রাসী তাঁর গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে মিজানুর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে ইন্ধন, মদদ ও নির্দেশনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে একই দিনে ঘোষিত পাঁচ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটিতে মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তবে তিনি সভাপতি পদ প্রত্যাশা করেছিলেন এবং কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন বলে দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতার ভাষ্য, মিজানুর রহমান প্রধান ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, স্থানীয় লোকজনকে ঘরছাড়া করা ও বাজারের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আহমেদ হোসেন তালুকদারের ওপর হামলার ঘটনায় মিজানুর রহমান প্রধানের নাম উঠে আসে। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তাঁর জবাব সন্তোষজনক হয়নি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই বহিষ্কারাদেশই প্রমাণ করে, বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসীদের স্থান নেই। বিএনপি কখনো কোনো অন্যায়কারীকে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না।”

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.