শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

দেশের মানুষ চাঁদাবাজ, খুনি ও ধর্ষকদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না: ছাত্রশিবির


ঢাকা, ১২ জুলাই ২০২৫ – ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতারা বলেছেন, দেশের মানুষ চাঁদাবাজ, খুনি ও ধর্ষকদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শনিবার (১২ জুলাই) সারাদেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এ কথা বলেন তারা। মিছিলটি মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সমাবেশে শেষ হয়।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, “জুলাই বিপ্লবের শহীদদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যারা নিজেদের প্রকাশ্য দল বলে দাবি করে, তাদের প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, গণধর্ষণ এবং জাহেলিয়াতের মতো পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করতে দেখেছি।”

তিনি আরও বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর হাসিনার আওয়ামী লীগ ও লাল সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাইদের দিনে-দুপুরে হত্যা করেছিল। এখন একটি প্রকাশ্য দল পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণের চেষ্টা করছে। জুলাইয়ের প্রজন্ম বেঁচে থাকতে আমরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেব না।”

নেতা রিফাত রশিদ বলেন, “নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে দেব না।” কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, “গতকাল মিটফোর্ডে আমার ভাইকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা আমাদের আতঙ্কিত করতে চায়। তারা গ্রামে-গঞ্জে, বাজারে-ঘাটে, দোকানে-পাটে কোথাও চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকেনি। যেভাবে জনগণ ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে, চাঁদাবাজদেরও একইভাবে বিতাড়িত করবে।”

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, “জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী জাহিলিয়াতের কবর রচিত হয়েছে। কিন্তু এখন নতুন করে জাতীয়তাবাদী জাহিলিয়াতের উত্থান দেখছি। চব্বিশের ছাত্র জনতা এখনো সজাগ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে ছাত্র জনতা রাজপথে নেমে প্রতিহত করবে।”

বিক্ষোভে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রঅধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.