সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, যারা অতিরিক্তভাবে বিএনপির নাম করে তারা প্রকৃত বিএনপি নয়, বরং তারা দোসর ও সুবিধাভোগী। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর সবাই বিএনপি। যারা অতিরিক্ত বিএনপি বিএনপি করে তারা আসলে বিএনপি নয়, তারা দোসর ও সুবিধাভোগী। সুবিধা হাসিলের জন্য তারা বিএনপির পতাকাতলে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছে।”
তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আহ্বান জানান, যেখানেই অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির নাম জড়িয়ে কেউ কথা বলবে, তাদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সিলেট নগরীর টিলাগড়স্থ গোপালটিলা দুর্গা মন্দিরে গোপাল জিউ আখড়ার জায়গা দখলের প্রতিবাদে আয়োজিত সাধারণ সভা ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এলাকার প্রবীণ মুরুব্বি কানুলাল চক্রবর্তী এবং যৌথভাবে পরিচালনা করেন গোপাল জিউ আখড়া পরিচালনা কমিটির সদস্য পলাশ চক্রবর্তী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক টিটন মল্লিক।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সুদিপ রঞ্জন সেন বাপ্পু এবং গোপালটিলা ভূমি আত্মসাৎ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ও পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ চয়ন।
মন্দিরের সামনের প্রধান সড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গোপাল জিউ আখড়ার ভূমি দখলকারী দিপক রায় দিপুসহ সব ভূমিখেকো চক্রের হাত থেকে দেবত্ব সম্পত্তি উদ্ধার এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় সিলেটের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা উল্লেখ করেন, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দিপক রায় দিপু ও অন্যান্য ভূমিখেকোরা আইন অমান্য করে দেবত্ব ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছে। তারা দ্রুত এসব দখলকারীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান। সিলেট জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
অন্যান্য বক্তার মধ্যে ছিলেন গোপাল জিউ আখড়া পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী কর পুরকায়স্থ সজল, মহানগর বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লুৎফুর রহমান মোহন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রাজীব দে রাজু, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মলয় ধর, মহানগর প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন চক্রবর্তী, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ঝলক বৈদ্য, মহানগর বিএনপির সাবেক যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের গণসংযোগ সম্পাদক উজ্জ্বল রঞ্জন চন্দ, মহানগর ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক রণি পাল, ১৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক কনক কান্তি দাস। এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন দুলন দেব, পবিত্র দেবনাথ ও সুমন দত্ত। গীতা পাঠ করেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।