রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা, সভাপতির ছাত্রত্ব নিয়ে বিতর্ক

 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মওলানা ভাসানী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৮ আগস্ট ঘোষিত এই কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফেরদৌস রহমান। তবে তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীকের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মওলানা ভাসানী হলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ফেরদৌস রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী ছিলেন এবং তিনি অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিয়মিত কোর্সে ভর্তি নন এবং জাকসু ভোটার তালিকায় তার নামও অনুপস্থিত। এই বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

নবগঠিত হল কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আইবিএ ইনস্টিটিউটের ৫১তম ব্যাচের (২০২১-২২ সেশন) শিক্ষার্থী মো. জাবের। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু নাঈম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন বাংলা বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিমেল বাবু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজিব হোসাইন।

ছাত্রদলের নিয়ম অনুযায়ী, হল কমিটির সক্রিয় পদে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু ফেরদৌস রহমানের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসরণ না করায় অভিযোগ উঠেছে, যা পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে ফেরদৌস রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে হল কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফেরদৌস আমাদের জানিয়েছিলেন যে তার রেজাল্ট এখনো প্রকাশিত হয়নি এবং তার ছাত্রত্ব ও হলে থাকার বৈধতা রয়েছে। তাই তাকে কমিটিতে রাখা হয়। তবে তার ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠায় আমরা বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.