বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, আবার কেউ বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ এবং তারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া কিছুই মেনে নেবে না।
সোমবার বিকালে রাজধানীর পল্লবী ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জনগণের ঐক্যের বিষয়ে আমিনুল হক বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই নির্বাচনকে বানচাল করার মতো শক্তি কারো নেই।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কে ক্ষমতায় আসবে। গণতন্ত্রের মূল সৌন্দর্য হলো মতের ভিন্নতা। তাই সমালোচনা ও ভিন্নমতকে ধারণ করার মানসিকতা থাকতে হবে।”
পিআর পদ্ধতি ও নতুন রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “কিছু ইসলামিক রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতির দাবি তুলেছে, যার উদ্দেশ্য অল্প ভোট পেয়েও সংসদে আসন নিশ্চিত করা। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখনো এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। আমরা কোনোভাবেই এই পদ্ধতি মেনে নেব না। জনগণকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “নতুন কিছু রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই দলগুলো ক্ষমতার মোহে বিদেশি সহযোগিতায় দেশে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের ওপর কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার বা অন্যায়-অবিচার করা যাবে না। যদি কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে, তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিএনপি জনগণের দল। তাই সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। যারা জনগণের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে কাজ করবে, তাদেরই আমাদের প্রয়োজন। যারা তা করবে না, তাদের আমাদের দলে কোনো প্রয়োজন নেই।”
সভাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব হাজী মো. মোস্তফা জামান। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, শাহআলম, মাহাবুব আলম মন্টু, দারুস সালাম থানা বিএনপি আহ্বায়ক ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস এ সিদ্দিক সাজু, মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, রেজাউর রহমান ফাহিম, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল হোসেন আব্দুল, হাফিজুল হাসান শুভ্র, শামীম পারভেজ, নুরুল হুদা ভুঁইয়া নূরু, এমএস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা রুনা, তাতীদল সভাপতি শামসুন্নাহার বেগম প্রমুখ।