শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

‘পিআর পদ্ধতির পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’—মির্জা আব্বাস

 বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘পিআর পদ্ধতির পেছনে উদ্দেশ্য আছে। উদ্দেশ্য হলো, কেউ বলবে করব, কেউ বলবে করব না; অর্থাত একপর্যায়ে বলবে, এ কারণে নির্বাচন হচ্ছে না। সুতরাং আরো কিছুদিন সময় বাড়িয়ে দিতে হবে।’ শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচন দিতে এত গড়িমসি কেন, আমি বুঝতে পারি না। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি, জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড; অর্থাত বিচারক যদি দেরি করেন, বুঝতে হবে বিচারক ভালো রায় দেবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর দেরি করবেন না। আমরা জানি, আপনারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেবেন, কিন্তু এর পেছনে আবার কোনো ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে, আল্লাহই বলতে পারবেন। আমি অনেক সন্দেহ করি, তাদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পেছনেও ষড়যন্ত্র আছে।’

দেশের মানুষের ওপর জোর করে ইভিএম বা পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশের লোককে ইভিএম পদ্ধতি খাওয়াতে চেয়েছিল হাসিনা, এ দেশের লোক গিলেনি। সুতরাং আপনাদের পিআর পদ্ধতিও কেউ গিলবে না, এই কথা মনে রাখবেন।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে এনসিপির সরকার হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত পচে গেছে। আমি ধারণা করেছিলাম, এই সরকার এনসিপির সরকার। অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হয়, এই সরকার বোধ হয় এনসিপির সরকার। উনারা যখন যেখানে যান, সরকারি প্রটোকল পান—পুলিশ, বিডিআর, আর্মি, গার্ড থাকে। সার্কিট হাউস ব্যবহার করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরাও তো অনেক জায়গায় গেছি, আমরা তো মন্ত্রী ছিলাম, ঢাকা শহরের মেয়রও ছিলাম, কই, আমরা তো এসব পাই না।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশীদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.