রোববার (৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমরা স্বৈরাচার ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।” তিনি আরও বলেন, “বিগত আমলে গুম-খুনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এমন একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা জরুরি, যেখানে খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হবে।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসকদের পরিণতির উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, “আমরা কেবল রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নয়, জনগণের পক্ষ থেকেও ন্যায়বিচার চাই। দেশের মানুষের স্বপ্নের বিচার চাই।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশে গুম, খুন, চাঁদাবাজি ও টাকা পাচার করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধেই ছিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলন।”
এ সময় চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “এই বিচার কোনো রাজনৈতিক প্রতিশোধ নয়, বরং এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেউ যতই ক্ষমতাবান হোক, আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আসামির অনুপস্থিতি ন্যায়বিচারে বাধা হবে না। ইচ্ছাকৃত পলায়ন কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের নির্লিপ্ততা থাকলেও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে এটিকে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীপক্ষের জোরালো অবস্থান হিসেবেও দেখছেন।