মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

আমিনুল হক: আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না, শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার কারণে মৃত্যু

 বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তিনি অভিযোগ করেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাদ জোহর রূপনগর থানা ও আঞ্চলিক ৬, ৯২, ২, ৩, ৬ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের নির্বাচনি এলাকায় আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, “যিনি রাজনীতি করতেন না, তাকে শুধু জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান হওয়ার কারণে অন্যায়ভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছিল। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেন সরকারের ষড়যন্ত্রে তিনি চরম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন, যা শেষ পর্যন্ত তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।” তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোকো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি আরও বলেন, “আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন ক্রীড়ামোদী, বিশেষ করে ক্রিকেটপ্রেমী একজন মানুষ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আধুনিক রূপদাতা হিসেবে তিনি টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন থেকে শুরু করে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেন। তার উদ্যোগেই মাত্র ছয় মাসে বগুড়ার চান্দু স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক মানে নির্মিত হয়, যা দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।”

আমিনুল হক জানান, কোকো নিজে ক্রিকেট খেলেছেন, ক্লাব পরিচালনা করেছেন এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি বিদেশি ক্রীড়াবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে দেশের ক্রিকেটের মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, মহানগর উত্তর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, আশরাফ আলী গাজী, মোকছেদুর রহমান আবির, সাবেক সহসভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন, রূপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক, আলী আহমেদ রাজু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, রূপনগর আবাসিক বাড়িমালিক সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা মো. শাহ আলম মোল্লা, ৬ নম্বর আঞ্চলিক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মামুন, ৯১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান ই এলাহী বাবুল প্রমুখ।

পরে বিকালে আমিনুল হক পল্লবীর বেগুনটিলা বস্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সমিতির আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন এবং পল্লবীর বিন্দাবনে পানির পাম্প উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় রূপনগর ৬ নম্বর টিনশেড এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.