বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫

ভারতীয় দূতাবাসে জাগপার বিক্ষোভ, হলুদ কার্ড প্রদর্শন

 ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। এ সময় দলটির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান ভারতীয় দূতাবাসকে ‘হলুদ কার্ড’ দেখিয়ে দাবি না মানলে ভবিষ্যতে ‘লাল কার্ড’ দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ফেরতের দাবিতে জাগপা আয়োজিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল মেরুল বাড্ডা থেকে শুরু হয়ে গুলশান-বাড্ডা লিঙ্ক রোডে পৌঁছলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এরপর তাৎক্ষণিক পথসভায় রাশেদ প্রধান এসব কথা বলেন।

পথসভায় রাশেদ প্রধান বলেন, “গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচারের জন্য হাজারো শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা অপেক্ষা করছে। হিন্দুস্তান রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হাসিনাকে এক বছর ধরে আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের দাবি স্পষ্ট—খুনি হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে, অবৈধ পুশ-ইন বন্ধ করতে হবে, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে, ভূমি দখল বন্ধ করতে হবে এবং দখলকৃত জমি ফেরত দিতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনার আমলে দেশের সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, সচিবালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুস্তানি কর্মকর্তা ও ‘র’ এর এজেন্ট প্রবেশ করানো হয়েছিল, যা এখনও অনেক জায়গায় রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে হিন্দুস্তানকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। সময় থাকতে হিন্দুস্তানকে সব হিন্দুস্তানি কর্মকর্তা বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। নতুবা জনগণ অশান্ত হলে আরেকটি ৫ আগস্টের সৃষ্টি হবে। ৫ আগস্ট শুধু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পরাজয় নয়, হিন্দুস্তানেরও করুণ পরাজয় হয়েছে।”

রাশেদ প্রধান আরও বলেন, “আমার দেশের ভোটের ফলাফল দেশে হবে, দিল্লিতে নয়। প্রতিবেশী হয়ে প্রতিবেশীর মতো আচরণ করুন, প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না। শেখ হাসিনার পতনে আপনাদের অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন খণ্ডবিখণ্ড হয়ে গেছে। আজ হলুদ কার্ড দেখাচ্ছি, দাবি না মানলে ভারতীয় দূতাবাসকে লাল কার্ড দেখানো হবে।”

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, মো. নিজামদ্দিন অমিত, ভিপি মু. মুজিবুর রহমান, মো. শামীম আক্তার পাইলট, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.