মেজর হাফিজ বলেন, “সারা পৃথিবীতে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। কিন্তু বাংলাদেশে তা করছে একদল অনির্বাচিত লোক। যারা কেউ আমেরিকা থেকে, কেউ লন্ডন থেকে কিংবা বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। যাদের গত ১৭ বছরের সংগ্রামে কোনো অংশগ্রহণ নেই, জুলাই অভ্যুত্থানে কোনো অংশগ্রহণ নেই, তারা বাংলাদেশের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “একাত্তরে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সেই যুদ্ধ শুরু করেছিলেন আমাদের নেতা মেজর জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক দলগুলো যখন পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে, জনগণকে আশার বাণী শোনানোর জন্য কাউকে যখন খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।”
তারুণ্যের শক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিশ্ববাসী মাথাপিছু আয় দেখিয়ে আমাদের দরিদ্র দেশের কাতারে ফেলতে চায়। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার বহু পরাশক্তি, যাদের রিজার্ভে বহু ডলার থাকে, বাংলাদেশ তাদের চেয়ে অনেক ধনী। কারণ, বাংলাদেশে আবু সাঈদের মতো সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “নিরস্ত্র হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বুলেটের সামনে বুক পেতে দিতে পারে, এরকম উদাহরণ পৃথিবীতে বেশি নেই। বিশেষত এসব পরাশক্তি, যারা বহু গর্বে গর্বিত, তাদের মধ্যে তো মোটেও নেই। সুতরাং আমাদেরও গর্ব করার মতো অনেক কিছু আছে।”
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।