বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

রাষ্ট্রপতির ছবি নিয়ে ব্যস্ততার চেয়ে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন: রুমিন ফারহানা

 বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ছবি থাকবে কি থাকবে না, এ নিয়ে সরকার যতটা ব্যস্ত, তার চেয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী হলে দেশ আরও সঠিক পথে এগোত।

বুধবার (২০ আগস্ট) জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামালের সঞ্চালনায় ‘অন্য মঞ্চে’র অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রুমিন ফারহানা বলেন, “গত এক বছরে রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা, গত ১৫ বছরের বিভাজন বন্ধ করা, আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ না দিয়ে সরকার ছোটখাটো বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছে। যেমন, রাষ্ট্রপতির পোর্ট্রেট ব্যাপারটাই ধরুন। এই পোর্ট্রেট সরানো কেন হলো, আমরা কেউ জানি না। কেউ না জানলেও চুপে চুপে একটা মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হলো, এটার অর্থ কী? যদি ‘নো পোর্ট্রেট’ নীতি নেওয়া হয়, তাহলে প্রজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের জানানো উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো পোর্ট্রেট না থাকে, তাহলে ঠিক আছে। যদি কোনো রাজনৈতিক দল এটাকে সমর্থন করে, তাহলে আমি আশা করব, ভবিষ্যতে তারা ক্ষমতায় গেলেও ‘নো পোর্ট্রেট’ নীতি মেনে চলবে। আমরা নিশ্চিতভাবে এটাই আশা করব।”

তিনি বলেন, “আমরা এখন টুকটাক ভিত্তিতে কাজ করছি। যেটা সামনে আসছে, তা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু সরকারের মূল দায়িত্ব ছিল—৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে আজ ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত—আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কাজ করা। কিন্তু এসব জায়গায় আমরা কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। যদি সরকার আইনশৃঙ্খলা ঠিক করতে, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, একজন ভালো উপদেষ্টাকে স্বরাষ্ট্রের দায়িত্ব দিতে এবং নির্বাচনের জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে মনোযোগী হতো, তাহলে দেশ আরও সঠিক পথে এগোত।”

তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ, যারা রাজনীতির সঙ্�গে জড়িত নয়, তারা ভীত। তারা বলছেন, দ্রুত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন। যে সরকারই আসুক, তা অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো। আমরা ৫৩ বছর ধরে রাজনৈতিক নেতাদের শাসন দেখেছি, আবার গত এক বছরে অরাজনৈতিক উচ্চশিক্ষিত মানুষের শাসনও দেখলাম। মানুষ নিজেরাই এদের তুলনা করতে পারে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহের অনেক কারণ আছে। মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশা, অপেক্ষা ও উচ্ছ্বাস থাকার কথা, কিন্তু আমরা এখনো সেই আমেজ দেখতে পাচ্ছি না। যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। কিন্তু মানুষ এই কথা বিশ্বাস করছে না।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.