ডা. মিতু বলেন, “ধানমন্ডি ৩২-এর চেতনার মন্দিরকে ঘৃণার সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে নতুন করে গড়ে ওঠা চেতনাব্যবসাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের রাজাকার ন্যারেটিভ ধারণকারী যেকোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠী এবং তাদের কালচারাল সেলের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর দমন অব্যাহত রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শাহবাগের আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ ঘৃণা করতে করতেই আমি রাজনীতি বুঝেছি। হাসিনাকে ঘৃণা করতে শিখেছি। শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে সেই সময়ের নাস্তিকদের (এন্টি-ইসলামিস্টদের) আচরণ দেখে আমি আরও প্রতিবাদী হয়ে উঠেছি। আমার ফেসবুক জীবনের ১৪ বছরে অনেক ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ইসলামপন্থীদের উপর অত্যাচার। সেই সময় জিন্স প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়ানো একটি মেয়ে হিসেবে আমি শুধুমাত্র বিবেকের তাড়নায় শাহবাগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম।”
ডা. মাহমুদা মিতু আরও উল্লেখ করেন, “২০২৪ আমার জন্য ট্রমার মতো। সেই সময়ের অত্যাচারের ভিডিও, ছবি, ডাইনিটার রং মেখে শুয়ে থাকা বলা ভয়েজ বা বিশ্বজিৎকে মারার দৃশ্যও আমার জন্য ট্রমা। আমরা সেই সময় থেকে একটি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। এসব বললে জামায়াতি, ইসলামি আন্দোলন বা হেফাজতের লোক বলে ট্যাগ দেওয়া হয়।”
তিনি বলেন, “গত ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনের মধ্যে আমার ফেসবুক জীবন ১৪ বছরের। এই সময়ে আমাকে হাজারবার রাজাকার বলা হয়েছে। কিন্তু ২০২৪-এ মানুষ শহীদ হওয়ার পর কোনোভাবেই শাহবাগীদের পুরনো আওয়ামী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না। ১৯৭১-এর চেতনা আমরা সবাই ধারণ করি, কিন্তু তাই বলে দমন-পীড়নের দিন আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।”