মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসনে থাকা আওয়ামী চেতনা লালনকারী ব্যক্তিদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
মাওলানা আজিজুল হক বলেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে তাঁদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন। হেফাজতের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ও সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হেফাজত প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংবিধানের মূলনীতিতে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যার ঘটনাকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও উত্থাপন করা হয়েছে।
মাওলানা আজিজুল হক জানান, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় হাজার হাজার আলেমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের অবদানকেও জুলাই সনদে সংযোজনের দাবি জানানো হয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনাকে ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা আজিজুল হক বলেন, “হেফাজতে ইসলাম কখনোই শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি দেয়নি। কওমি মাদ্রাসার বোর্ডের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার লালিত মাওলানা রব আমিন এই উপাধি দিয়েছেন।”