জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন অভিযোগ করেছেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচালের জন্য একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়া চলছে। সম্প্রতি যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ তুলে ধরেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, “আওয়ামী লীগের যে বলয় এখনো প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছে, সেখানে আইনজীবীরাও জড়িত। আইনের অঙ্গন এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে এখনো যুক্ত। তারা চাচ্ছেন নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হোক বা শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত না হোক। যাদের এতে সুবিধা রয়েছে, তারা এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন বানচালের যে প্রক্রিয়া চলছে, তা সফল হবে না। ছাত্রদের প্রতিরোধ আছে, গণঅভ্যুত্থানের সাহসী নেতা ও কর্মীরা এখনো সক্রিয়। তারা মনে করেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যর্থ করার কোনো কাজ সফল হতে দেওয়া হবে না। ডাকসু নির্বাচনের ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। এ কারণে তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন।”
এনসিপির এই নেত্রী জানান, “আমরা মনে করি, ডাকসু নির্বাচন বানচাল বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। বরং সব রাজনৈতিক দলের উচিত নির্বিঘ্নে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এবং জয়লাভ করা। যারা জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছেন, তাদের জন্য ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ আরও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারা যদি নিজেদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে ফেলেন, তবে তা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।”
সামান্তা শারমিন আরও অভিযোগ করেন, “সৈকত সাহেব বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি প্রগতি�শীল ছাত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখেছি, আওয়ামী লীগকে বাধা দেওয়ার কাজ প্রায়ই প্রগতিশীল মনোভাবাপন্ন বা নিজেদের প্রগতিশীল দাবিদারদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও আমরা দেখছি, যখন রিট করা হচ্ছে, তখন তারা কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। যিনি রিট করেছেন এবং যে আইনজীবী এতে সহায়তা করেছেন, তাদের রাজনৈতিক পটভূমি পরীক্ষা করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।”