সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় হাসিনাসহ ১৮২ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা

গত বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১৮২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একেএম নুরুল্লাহ (২২)। আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নগর পুলিশের সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম, সাইফ পাওয়ারটেকের এমডি তরফদার রুহুল আমিন, আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত, এস আলম গ্রুপের কর্নধার সাইফুল আলম মাসুদ, শেখ হাসিনার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মুজিবুর রহমান, সাবেক সিইসি নুরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহণ) এনামুল করিম, সাবেক এমপি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান এবং শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ।

বাদীর আইনজীবী তাসমিন আক্তার নিসাত জানান, গত বছর নগরীর কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বেলা পৌনে ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলন করছিলেন বাদী একেএম নুরুল্লাহ। ওই সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে বিপ্লব বড়ুয়া, ওবায়দুল কাদের, বিপ্লব পার্থ, ড. হাসান মাহমুদ, নেজাম উদ্দিন নদভী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে বাদীর দুই পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। চিকিৎসাধীন থাকার কারণে এবং আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে সময় লাগায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.