নাহিদ ইসলাম বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে উচ্চকক্ষ। আমরা বলেছিলাম, উচ্চকক্ষটি ভোটার অনুপাতে, পিআর পদ্ধতি অনুসারে হতে হবে। এটি ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে এখনো ঐকমত্য আসেনি। ঐকমত্য ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে কি না, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। ঐকমত্যের পরই আমরা সনদের বিষয়টি বিবেচনা করব। তবে আমরা চাই, ৫ আগস্টের মধ্যে সর্বদলীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত হয়।”
প্রশাসন ও পুলিশের নিরপেক্ষ আচরণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, “জুলাই সনদ হওয়ার পর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচনের আগে অবশ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।”
আজ দুপুরে জামালপুরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হবে। শহরের তমালতলা থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি ফৌজদারি এলাকার পথসভাস্থলে গিয়ে শেষ হবে। জামালপুরের কর্মসূচি শেষে দলের নেতারা ময়মনসিংহে যাবেন।
গত রোববার শেরপুরে পদযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জামালপুরে পৌঁছান। রাত আটটার দিকে তাঁরা জামালপুর শহরের চামড়াগুদাম এলাকায় আল জামিয়াতুল হাবিবিয়া কওমি মাদ্রাসা, হজরত শাহ জামাল (র.)-এর মাজার ও দয়াময়ী মন্দির পরিদর্শন করেন। এরপর তাঁরা সার্কিট হাউস ও বিভিন্ন হোটেলে রাত্রিযাপন করেন।
পথসভায় সভাপতিত্ব করবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও জামালপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী লুতফর রহমান। সভায় নাহিদ ইসলাম ছাড়াও বক্তব্য দেবেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, নাহিদা সরওয়ার, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়কারী আবদুল হান্নান, যুগ্ম সদস্যসচিব লুতফর রহমান, সদস্য মশিউর আমিন, জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক হিফজুর রহমান এবং সংগঠক মোসাদ্দেকুর রহমান।