ইস্কান্দার আলী জনি যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাবলাতলা এলাকার মৃত শেখ সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি যুবদলের পদে থাকাকালীন দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও বিষোদ্গারের কারণে দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের অভিযোগে বহিষ্কৃত হন।
যশোর ডিবি পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনি জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। এছাড়া, জেলা বিএনপির সভাপতিসহ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার, কুতসা ও ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোর সেনানিবাসে ছিলেন এবং জেলা যুবদলের ততকালীন সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে সদস্য সচিব) আনসারুল হক তাকে ভারতে পালাতে সাহায্য করেছেন বলে ফেসবুকে মন্তব্য করেন। এসব গুজব ছড়িয়ে সেনাবাহিনী ও দেশের মানুষের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়।
যশোর ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে খিলক্ষেতের দক্ষিণ নামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জনিকে গ্রেফতার করা হয়। ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়া জানান, জনির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে, যেখানে একজন অফিসার তার মামলার তদন্ত করছেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল রাত ১টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের অবহিত করে। পুলিশ জানায়, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জনি দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন।