শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ যেন না পায়: তারেক রহমান

 বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে চরমপন্থা কিংবা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ যেন না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে এই সভায় বিএনপি ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারেক রহমান বলেন, “কারো রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণের প্রধান মাধ্যম হওয়া উচিত জনগণের রায়। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত না হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে।”

তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে দেশে কিছু নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও স্বচ্ছ ও সাহসী ভূমিকা পালন করুক। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল আপনাদের পাশে থাকবে।”

তারেক রহমান ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা যেমন জনগণের কাছে চিরস্মরণীয়, ২০২৪ সালের শহীদরাও তেমনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও ১৬ জুলাইয়ের পর তা আর কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। মানুষের মনে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছিল যে, মাফিয়া সরকারের পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। সেই বিশ্বাস থেকেই গণতান্ত্রিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে পরিকল্পনা করেছিল, যাতে এই আন্দোলন কোনো একক দলের হিসেবে পরিচিত না হয়।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “২০১৪ সালে আমি কোটা ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলাম। গণ-অভ্যুত্থানের শহীদরা আমাদের জাতির গৌরব। তাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি সত্যিকারের সম্মান জানাতে পারি। এই কাঙ্খিত রাষ্ট্র গঠনের প্রথম শর্ত হলো জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা। এজন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে মানুষ নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারে।”

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সভাটি ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও তাদের অবদানকে স্মরণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.