রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: ফ্যাসিবাদ রোধের লক্ষ্যে ২৬৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন রোধ করার নির্বাচন। রোববার (১৭ আগস্ট) বিকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে দলটির আমিরের ব্যক্তিগত কার্যালয় হলি উম্মাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় ধাপের দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মামুনুল হক ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নতুনভাবে ৪৫টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। এছাড়া, পূর্বে ঘোষিত ২২৩টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দুই ধাপে মোট ২৬৮টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে।

মামুনুল হক বলেন, “রক্তস্নাত জুলাই অভ্যুত্থানের পর সবার আশা ছিল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে চলে আসা দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির পরিবর্তন হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য গঠিত হলেও সংসদ কীভাবে গঠন হবে, এ নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। সংসদ দ্বিকক্ষীয় হবে—এটাতে ঐকমত্য হয়েছে। তবে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। আমরা আশা করি, দ্রুত এ বিষয়ে সমাধান হবে এবং নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পিআর ছাড়া যদি উচ্চকক্ষ গঠিত হয়, তবে এটি মূলত একটি ‘বেকার পুনর্বাসন উচ্চকক্ষ’ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা এ ধরনের বেকার পুনর্বাসনের জন্য কোনো কক্ষ চাই না। আমরা চাই একটি কার্যকর, সত্যিকার অর্থে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক উচ্চকক্ষ।”

মামুনুল হক জানান, “আমরা আশাবাদী, আগামী নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানের সব অংশীদার রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচন হবে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন রোধ করার নির্বাচন। আমরা লক্ষ্য করছি—ফ্যাসিবাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী জাতীয় পার্টি নতুনভাবে মাঠে নামার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা সব ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক পক্ষকে আহ্বান জানাই—ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাই সচেষ্ট হোন।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুবুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদি, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, যুব মজলিসের সভাপতি জাহিদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি মাওলানা এহসানুল হক প্রমুখ।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.