মারিয়া নুর বলেন, “গত ৮ বছরেও আমার স্বামীর ওপর এত নৃশংস ও ন্যক্কারজনক হামলা হয়নি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে ডাকসু নির্বাচনসহ বিভিন্ন সময়ে নুরের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ‘ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশে’ প্রশাসনের এ ধরনের হামলা কল্পনার বাইরে।”
তিনি জানান, ৩০ আগস্টের ঘটনাটি তিনি সরাসরি সম্প্রচারে দেখেছেন এবং এই নৃশংসতার কারণে তিনি স্তব্ধ হয়ে গেছেন। “আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি। এটা বর্ণনা করার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না,” বলেন তিনি। মারিয়া নুর আরও বলেন, “আমার লাইফটা সম্পূর্ণ আলাদা। তারপরও মিডিয়ার সামনে আসতে বাধ্য হলাম।”
মারিয়া নুর জানান, নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। তিনি বলেন, “তার ব্রেন, নাক, চোয়াল ও মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত লেগেছে। ডাক্তাররা বলছেন, ৩৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে। এখনো ৭২ ঘণ্টা না গেলে তিনি আশঙ্কামুক্ত নন।”
তিনি আরও বলেন, “এই শঙ্কার মধ্যে মিডিয়ার সামনে আসা সহজ নয়। কিন্তু তার অবস্থা জানার জন্যই আমি হাসপাতালে এসেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাইছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার ব্যবস্থা যেন করা হয়।”
এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। নুরুল হক নুরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তার স্ত্রী মারিয়া নুর।