নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে দলের ভাবনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএনপির সমমনা হিসেবে অনেক ইসলামি দল আছে, তাদের জোটে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।” তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই।”
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপির অবস্থান আমরা পরিষ্কার করেছি। প্রতিটি সংস্কারের বিষয়ে আমরা বলেছি, কীভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে। সংবিধান বাদ দিয়ে নয়, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এগুলো করা যায়। যেগুলো এখনই অধ্যাদেশের মাধ্যমে করা সম্ভব, সেগুলো করা হবে। আর যেগুলো সম্ভব নয়, সেগুলো নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে করা হবে।”
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচনের সময় দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।” তবে আওয়ামী লীগের মূলধারার রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। তিনি বলেন, “আমি আপাতত ৫০ বছরেও তাদের ক্ষমতায় ফেরার কোনো সম্ভাবনা দেখি না। রাজনীতিতে ফেরার বিষয়টি জনগণের ওপর নির্ভর করবে।”
বিএনপির এই ঘোষণা ও অবস্থান আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন গতি সঞ্চার করেছে। দলটির সমর্থকরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আশাবাদী হলেও, নির্বাচনী জোট ও সংস্কারের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হয়, তা নিয়ে সবার দৃষ্টি রয়েছে।