শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির সাবেক নেত্রীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ: হাসপাতালের নথিতে স্বামীর নাম পরিবর্তন

 
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক নেত্রী নীলা ইস্রাফিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়াই ভর্তি ফরমে স্বামীর নামের জায়গায় দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের নাম বসানোর অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনাকে তিনি জালিয়াতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন। শনিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে হাসপাতালের ভর্তি ফরমের ছবি যুক্ত করে নীলা এই দাবি করেন।

নীলা ইস্রাফিল তার পোস্টে বলেন, “আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, সম্পূর্ণ অজ্ঞান অবস্থায়। আমার নিজের নাম, পরিচয়, জীবনের সিদ্ধান্তের ওপর তখন আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ঠিক সেই সুযোগে সারোয়ার তুষার আমার স্বামীর নামের জায়গায় নিজের নাম বসিয়েছে। এটা কোনো ‘ভুল’ নয়, এটা আইনগতভাবে জালিয়াতি। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য নথিতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তৈরি করা এবং তা ব্যবহার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে অনুমতি ছাড়া কারও ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন করাও অপরাধ। আমার অনুমতি ছাড়া আমার পারিবারিক পরিচয় বিকৃত করা শুধু আমার সামাজিক সম্মানকে আঘাত করা নয়, এটা আমার মানবাধিকার লঙ্ঘন। UDHR-এর ধারা ৩, ৫, ১২ ও ২২ অনুযায়ী আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা, গোপনীয়তা এবং আইনি নিরাপত্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। হাসপাতালের নথিতে এই ভুয়া তথ্য ভবিষ্যতে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে, যা আমার সামাজিক ও আইনগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।”

নীলা ইস্রাফিল এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দাবি করেছেন, অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করা হোক, দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তার প্রকৃত তথ্য পুনঃস্থাপন করা হোক এবং রোগীর অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে এমন অপরাধকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হোক। তিনি বলেন, “এটা শুধু আমার লড়াই নয়, এটা প্রতিটি মানুষের নিজের পরিচয়, মর্যাদা এবং অধিকারের জন্য লড়াই।”

এই অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে সারোয়ার তুষার বা এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.