গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, “এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা দেশে রয়ে গেছে। তাদের চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের নিষিদ্ধের দাবিতে আমরা যমুনা ঘেরাও করব।” শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান আরও জানান, নুরের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এই হামলার সময় বলা হয়েছে জুলাই ভরে দেওয়া হবে।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর রাত সোয়া ৮টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তার দলের নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং সড়কে আগুন জ্বালিয়ে দেন। পুলিশ ও সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন।
গুরুতর আহত নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার (ওসিসি) থেকে রাত ১২টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউর ৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের ওসিসির একজন চিকিৎসক জানান, নুরের নাক ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা না গেলে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না।