শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫

শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন নয়: মাওলানা মামুনুল হক

 বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে ঢাকার ধুপাখোলা মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সিরাত কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মঞ্চে তার পাশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

নির্বাচন প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, “নির্বাচনের কথা অনেক পরের বিষয়। প্রথমে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের রক্তের স্বীকৃতি দিতে হবে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের যোদ্ধারা যে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছিলেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই সনদ বাংলার মাটিতে কার্যকর করতে হবে। ১৯৭২ সালের সংবিধান এদেশে চলবে না, চলতে দেওয়া হবে না।”

১৯৭২ ও ২৪ এর সংঘাত নিয়ে তিনি বলেন, “২৪ এর রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করে যারা ১৯৭২ এর বাকশালী ব্যবস্থায় ফিরতে চান, তাদের মুখে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম উচ্চারণের আগে ওজু করে নিতে হবে। আমরা জীবন দেব, রক্ত দেব, রক্তের সাগর বইবে, কিন্তু ২৪ এর বিপ্লব ব্যর্থ হতে দেব না ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশে স্বৈরাচারীদের ভাস্কর্য নামক মূর্তি আর স্থাপন করা হবে না।”

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের নামে বা শহীদদের জন্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ভাস্কর্য নির্মাণের বিপজ্জনক চেষ্টা কেউ করবেন না। শহীদ আবু সাঈদ বা মুগ্ধদের নামে ভাস্কর্য বানালে, শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের মতোই আমরা তার সঙ্গে ব্যবহার করব। শহীদ জিয়াউর রহমানের নামেও রাষ্ট্রীয় ভাস্কর্য স্থাপন করা হলে তা জীবন দিয়ে প্রতিহত করব, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব। আদর্শের জায়গায় কোনো আপস নেই।”

১৯৭২ সালের সংবিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই সংবিধান মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের চরণতলে বলি দেওয়া হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ ১৯৭২ এর ভারতীয় আধিপত্যবাদের চেতনাকে প্রতিহত করবে। এই চেতনা আর চলতে দেওয়া যাবে না।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.