মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে শয়তানি শুরু করেছে। সেখান থেকে তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে উসকানি দিয়ে বলছেন, তোমরা গোলমাল করো, মিছিল করো, মারামারি করো, নেতাদের মারো। আমি বলছি, যদি আপনাদের কারো ওপরে আওয়ামী লীগের হাত পড়ে, সেই হাত ভেঙে দেবেন।”
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের মতো চাটার দলে পরিণত হওয়া যাবে না। তাহলে মানুষ বিএনপিকেও ভালোবাসবে না।” দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। এখানে কোনো আপস নেই।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ড. ইউনূসের রাজনীতি করার ইচ্ছা নেই। তিনি দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।” তিনি আরও বলেন, “আগে শেখ হাসিনার হাতে সব কিছু থাকলেও, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতার ভারসাম্য আনবে।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “আইন আইনের মতো চলবে। ছাত্রসংসদ নির্বাচন বা অন্য কোথাও গণ্ডগোল করা যাবে না।” পুলিশের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অতীতের কর্মকাণ্ড ভুলে পুলিশকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “গুজবের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” তিনি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের লড়াই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য। এই লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”