সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

শেখ হাসিনা-জাহাঙ্গীর কবির নানকের ফোনালাপ ফাঁস: জাতীয় পার্টিকে ‘জিন্দা লাশ’ বলে হাসিনার হুঁশিয়ারি

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ফোনালাপের অডিও রেকর্ড একের পর এক ফাঁস হচ্ছে। এবার সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ্যে এসেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই অডিও রেকর্ডটি প্রকাশ করেন।

এর আগে রোববার (১৭ আগস্ট) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে শেখ হাসিনার আরেকটি ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়।

প্রকাশিত ৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের এই ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টিকে ‘জিন্দা লাশ’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, এই দলটির তার আর কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এবার আমি একটারেও ছাড়ব না।’

এই ফোনালাপটি গত বছরের জুলাই মাসের, যখন দেশজুড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে নানককে উদ্দেশ করে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি আমাকে যা বলবা সত্যি কথা বলবা।’ নানক জবাবে বলেন, ‘জি বলব।’

শেখ হাসিনা এরপর জিজ্ঞেস করেন, ‘মোহাম্মদপুরের বিহারী পট্টির লোকদের ভূমিকা কী?’ জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ওদের ভূমিকা ভালো, আপা। শুধু এখানে সেন্টু কমিশনার আছে একটা, কালপ্রিট, জাতীয় পার্টির। ওর সঙ্গে কয়েকটা ছেলে আছে। ও (সেন্টু) তো এই এলাকার কাউন্সিলর, ওর কাছ থেকে বেনিফিট নেয়। এই গুটিকয়েক ছেলে, এ ১৫-২০টা ছেলে, ওরা সব আমাদের পক্ষে ছিল। মোহাম্মদপুরে সব ঠিক আছে, শুধু পল্লবীতে ঝামেলা।’

নানক আরও বলেন, ‘কিন্তু আপা, সেন্টুকে ধরলে আবার জাতীয় পার্টি চ্যাতবে।’ জবাবে শেখ হাসিনা তাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘চুপ করো, জাতীয় পার্টি চ্যাতলে আমাদের কী আসে যায়? জাতীয় পার্টি আর কত? দরকার নাই আর ওই পার্টির। ওদের নিয়ে আর কী করব? জিন্দা লাশ। আমি এবার একটারেও ছাড়ব না।’ নানক তখন বলেন, ‘একেবারে ছাইকা ফেলতে হবে, আপা।’

এই ফোনালাপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এর আগেও শেখ হাসিনার একাধিক ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, যা রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.