অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আর বিলম্ব নয়। ড. ইউনূস স্যারের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগের মধ্যে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে যে রিকোয়েস্ট করেছেন, আমরা চাই, অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুক।” তিনি নির্বাচন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন দাবি ও বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা বলেন, পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না। আপনি যে এই কথাটি বলেন, এর ইমপ্লিকেশন চিন্তা করেছেন? আজকে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, নির্বাচন যথাসময়ে না হয় তাহলে লাভ কাদের? লাভ হচ্ছে পতিত স্বৈরাচারে রয়ে যাওয়া সুবিধাভোগীদের, যারা প্রশাসনে, বিচারালয়ে, ব্যবসা কেন্দ্রে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।”
ডা. জাহিদ আরও বলেন, “তারা দেশে এবং দেশের বাইরে বসে তাদের নেত্রী যে ষড়যন্ত্র করছে নির্বাচন হতে দেবে না, এটা করতে দেবে না—এর ফলে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তাহলে লাভ কাদের? লাভ হবে পলায়নকৃত স্বৈরাচারের। আপনারা যারা বুঝে বা বুঝে না বিভিন্ন দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চান, তারা কি প্রকারান্তরে স্বৈরাচারের পক্ষে কাজ করছেন, সেটি কি বিবেচনা করেছেন?” তিনি জানান, “আজকে যদি স্বৈরাচারের পক্ষে কাজ করা হয় এবং আপনাদের কর্মসূচির কারণে নির্বাচন হয় কি না, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আশঙ্কা জমে, তাহলে লাভবান হবে পলায়নকৃত স্বৈরাচার। এর জন্য কি আপনারা ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই করেছিলেন?”