মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ও সংস্কারের দাবি: চরমোনাই পীরের হুঁশিয়ারি, ‘আগের নিয়মে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’

 ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি প্রদান ও কাক্সিক্ষত সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে পূর্বের নিয়মে জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “দেশ যখন আগুনের মতো জ্বলছিল, তখন অন্যায়, খুনখারাবি ও বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে দেশকে উদ্ধার করেছে। যদি কোনো অশুভ চক্র চাপ প্রয়োগ করে প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কারের আগে নির্বাচন ঘোষণায় বাধ্য করে, তাহলে পরিষ্কার বলছি—আমরা ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়িনি। যতদিন আইনশৃঙ্খলা সুন্দর না হবে, সংস্কার দৃশ্যমান না হবে, ততদিন বাংলার জমিনে আগের নিয়মে নির্বাচন হতে পারে না।”

মঙ্গলবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের সামনে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাউয়ুম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

চরমোনাই পীর আরও বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনকে সুসংহত করতে হলে সংস্কার জরুরি। জুলাই সনদের দাবিগুলো পূরণ এবং বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।” তিনি সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশে বক্তারা জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য ন্যায়বিচার ও সংস্কারের ওপর জোর দেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.