রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গত শনিবারও দলের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
পূর্বের ঘটনার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা মশাল মিছিল করেন। এরপর বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা ব্রিফিং করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের লাঠিপেটা করে।
এই হামলায় গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নুরের ওপর হামলার ঘটনার পর গণঅধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। জামায়াতও জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করা উচিত। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল। যেভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তেমনিভাবে জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।”
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে জিএম কাদের ভারতে গেলেন। তখন সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছেন, ওদের (ভারত) পারমিশন ছাড়া কিছু বলতে পারব না। এটি জাতীয় পার্টি কি ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল? না বাংলাদেশের? এই আপনাদের নীতি ও আদর্শ, এই আপনাদের চরিত্র?”
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অবস্থান জানান।